তারুণ্যের বিপথগামিতার জন্য আমরা কেবল ব্যক্তিকে দায়ী করব- নাকি পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দায়ী করব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। আধুনিক সভ্যতার নামে অসভ্যতা, বিজাতীয় সংস্কৃতি, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, কালো টাকার প্রভাব এবং বেহিসাবি অর্থব্যয়ের কারণে মানুষের মন-মস্তিষ্কে পচন ধরতে শুরু করেছে। ফলে সামাজিক নানা রোগবালাই এবং মানবিক বিপর্যয় মহামারী আকারে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। অশ্লীলতা, অমানবিকতা, পাপাচার, অবিচার, অত্যাচার, অনাচার ইত্যাদি নেতিবাচক কর্মগুলো সামাজিক পোস্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে কে যে কখন এসব পোস্টার দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে বা এসব মহামারী রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, বলা যায় না
বাহারি এবং অদ্ভুত সব নেশায় পাগলপারা হয়ে উঠেছে দেশের তরুণসমাজ। তাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও পোশাক-পরিচ্ছদেও এসেছে অদ্ভুত পরিবর্তন। আগেকার দিনে ছেলেমেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই বিয়ে, ঘরসংসার এবং চাকরি-বাকরি কিংবা কর্মসংস্থানের জন্য অস্থির হয়ে পড়ত। কিন্তু ইদানীংকালে লোভ, অলসতা এবং চরিত্রহীনতা তাদেরকে অক্টোপাশের মতো এমনভাবে বেষ্টন করে ফেলেছে যে, হাজার বছরের তারুণ্যের ঐতিহ্য তারা পায়ে মাড়িয়ে এক অজানা সর্বনাশের পথে উন্মত্তের মতো এগিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক কালে তারুণ্যের বিরাট ও ব্যাপক একটি অংশ কেন যেন ‘বড্ড নাফরমান’ হয়ে উঠেছে। বাবা-মা-আত্মীয়-পরিজন, ময়মুরব্বি কিংবা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রদর্শনের পরিবর্তে অবাধ্য হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। এক বাবা দুঃখ করে তার গুণধর ছেলের কথা বলছিলেন।
তিনি ছেলেকে নামাজ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন। উত্তরে ছেলে সরাসরি জানিয়ে দেয় যে, এটা নামাজ পড়ার বয়স নয়। অন্য বাবা তার সন্তানের বহুগামিতা নিয়ে আকার ইঙ্গিতে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করার চেষ্টা করামাত্র সন্তান মুখের ওপর বলে উঠল, তুমি তো বিয়ের আগে আম্মুর সাথে কত ডেটিং করেছ! ছেলেদের বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে থাকা, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দেয়া এবং নানা অশ্লীল ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে মদ-গাঁজা, সিগারেট এবং মাঝে মধ্যে জুয়া খেলাকে অনেক পরিবার এখন স্বাভাবিক নিয়তি বলে ধরে নিয়েছে। তারা একান্ত অসহায় হয়ে, সারাক্ষণ প্রার্থনারত থাকেন এই ভয়ে যে, তাদের সন্তানেরা যেন ইয়াবা, হেরোইন, মারিজুয়ানা, ফেনসিডিল ইত্যাদিতে আসক্ত হয়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তাদেরকে হররোজ ঘরে ফিরে মারধর না করে!
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অবাধ্যতা ও চরিত্রের ঢিলেমি কম নয়। নারীর সতীত্ব, পর্দা ও সম্ভ্রম মেনে চলা কিংবা আবহমান বাংলার মেয়েদের লাজলজ্জা, গৃহমুখী স্বভাব, নম্রতা-ভদ্রতা ইত্যাদি যেন আফ্রিকার জঙ্গলে নির্বাসনে যেতে বসেছে। এখনকার শহুরে অনেক মেয়ে, এমনকি পল্লী অঞ্চলের সাধারণ দরিদ্র পরিবারের মেয়েরাও ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে সিগারেট খায়। মদপান, সিসার নেশায় বুঁদ হওয়া, ক্লাব পার্টিতে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদির জন্য কিছু মেয়ে পারে না বা করে না, এমন কাজ নেই। ছেলেবন্ধুদের এক রকম জিম্মি করা। এক ছেলেকে অন্য ছেলের বিরুদ্ধে উসকে দেয়া, টাকার লোভে বয়স্ক লোকদের পেছনে ঘুরঘুর করার মতো লোভী ও বিকৃত মানসিকতা অনেক মেয়েকে ক্যান্সারের মতো আক্রান্ত করে ফেলেছে। সমাজ-সংসার, বাবা-মা, মানসম্মান কিংবা নিজের ভুতভবিষ্যৎ নিয়ে এসব বিপথগামী তরুণী আদৌ চিন্তাভাবনা করে বলে মনে হয় না।
নিবন্ধের শুরুতেই বলেছি, ইদানীং ছেলেমেয়েরা বিয়ে করতে আগ্রহী হচ্ছে না। বাবা-মা বিয়ের কথা বললে তারা কৌশলে এড়িয়ে যায়। কেউ বলছে, আরো একটু ‘প্রতিষ্ঠিত’ হয়ে নেই। আবার কেউ বিয়ের ডেডলাইন দিচ্ছে আরো পাঁচ-সাত বছর পর। আপাতদৃষ্টিতে নম্র, ভদ্র এবং পরিপাটি বেশভূষার এসব তরুণ-তরুণীর সাজানো-গোছানো কথাবার্তা শুনলে বাবা-মা নির্বাক হয়ে যেতে বাধ্য। যে শ্রেণীর তরুণ-তরুণীর কথা বলছি, তারা মূলত শহুরে মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত বা ধনিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। তারা দেশী-বিদেশী নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়ে বাবা-মায়ের ব্যবসায় দেখাশোনা করছে নতুবা বড় কোনো বহুজাতিক কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করছে। ওরা নিজেদের ব্যাপারে আপাতদৃষ্টিতে খুবই সচেতন এবং স্বার্থ আদায়ের ব্যাপারে অভিনব কৌশলী।
আমি নিজে কয়েকটি পরিবারের বিবাহের উপযুক্ত ছেলেমেয়েদের কথা জানি। তাদের বাবা-মা বহু অর্থ ব্যয় করে দেশে-বিদেশে ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে মহাপণ্ডিত বানিয়ে এনেছেন। প্রথম দিকে ছেলেমেয়েদের পাণ্ডিত্যে বাবা-মায়ের যেন গর্বে মাটিতে পা পড়ত না। তারা ছেলেমেয়েদের কথামতো ব্যবসায় বাণিজ্য, ঘরসংসার- এমনকি সামাজিকতা নতুন করে শুরু করেছিল। অনেকে ‘বিদ্বান’ সন্তানের প্ররোচনায় নিজের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত বন্ধু বা ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ আপন ভাইদের থেকে আলাদা হয়ে বাবা-ছেলে বা বাবা-মেয়ে মিলে একসাথে ব্যবসায় বাণিজ্য শুরু করেছেন। নিজেদের ভিটেমাটি বিক্রি করে সন্তানের পছন্দমতো নতুন বসতি গড়ার পাশাপাশি পুরনো বাসস্থান বদলে ‘অভিজাত’ হওয়ার প্ররোচনায় নতুন এলাকার বাসিন্দা বনে গিয়েছেন। সব শেষে প্রিয় সন্তান যখন তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বতন্ত্র ফ্ল্যাটে একাকী থাকা শুরু করল, তখন অনেক বাবা-মায়ের ‘কানে পানি ঢুকল’।
উল্লিখিত সন্তানেরা ছলে-বলে-কৌশলে বাবা-মায়ের ব্যবসায়বাণিজ্য, ধনসম্পদ ও বাড়ি-গাড়ি করায়ত্ব করে নেয়ার পর শুরু করে দস্তুর মতো নাফরমানি। এ অবস্থায় বাবা-মা সন্তানকে বিয়ে না করিয়ে গৃহমুখী করার চেষ্টা করে প্রায়ই ব্যর্থ মনোরথ হয়ে হা-পিত্যেশ করতে থাকেন। অন্য দিকে সন্তানেরা ক্যারিয়ার গড়ার নাম করে মূলত অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে বিপথে সুখ আস্বাদনের চেষ্টা চালাতে চালাতে একসময় হয় যৌবন হারিয়ে ফেলে, এমন কি গোপন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে অথবা নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা ও অবিশ্বাসপরায়ণ হয়ে ওঠে। ধর্মপরায়ণ বাবা-মা নিজেদের মেয়ের যথেচ্ছাচার অতিষ্ঠ হয়ে অভিশাপ দিতে থাকেন যে, ‘তোর প্রতি আল্লাহর গজব নাজিল হোক। সারা রাত জেগে তুই যেভাবে অন্য মানুষের সুখের সংসারে আগুন লাগাচ্ছিস এবং সীমাহীন পাপে নিজেকে জড়াচ্ছিস, তা না পারছি বলতে আর না পারছি সহ্য করতে।
তরুণ-তরুণীদের বিবাহবহির্ভূত অবাধ মেলামেশা এবং নানা রকম নষ্টামীর কারণে আমাদের সমাজ দিনকে দিন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে এমন সব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা আগে কল্পনাও করা যেত না। ঢাকা শহরের নামকরা এক ব্যবসায়ী তার আদরের ফুট ফুটে একমাত্র মেয়েকে মহাজাঁকজমকে বিয়ে দিলেন তারই পূর্বপরিচিত এবং প্রতিবেশীর ছেলের সাথে। ছেলেটি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, দেখতে অতীব সুদর্শন এবং এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে উঁচু বেতনে কর্মরত। বিয়ের আগে ও অব্যাবহিত পরে মেয়ের বাবা নানা কারণে তার জামাতাকে নিয়ে গর্ব করতেন এবং পরিচিতজন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে আলাদাভাবে বাসায় দাওয়াত করিয়ে জামাই দর্শনের ব্যবস্থা করতেন। নিজের সৌভাগ্য এবং মেয়ের সৌভাগ্যে তিনি ছিলেন যারপর নাই গর্বিত, আনন্দিত ও তৃপ্ত। কিন্তু তার এই সুখ মাত্র মাস খানেক পর উধাও হয়ে গেল। মেয়ে কিছুতেই জামাইয়ের সাথে থাকতে রাজি নয়। ধনী বাবা মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের আগেই প্রায় চার হাজার বর্গফুটের এক বাদশাহী অ্যাপার্টমেন্ট মেয়ের নামে ক্রয় করেছিলেন। দেশী-বিদেশী ডিজাইনে সেই অ্যাপার্টমেন্ট সজ্জিত করে মেয়ের বাসর রাতের স্বপ্নশয্যা রচনা করেছিলেন।
নবদম্পতির কাছে মহাসমারোহে অ্যাপার্টমেন্টের চাবি, নতুন দামি গাড়িসহ বহু মূল্যবান উপহারসমেত গর্বিত বাবা-মা বিবাহস্থল থেকে মোটরযাত্রাসহকারে তাদের পূর্বনির্ধারিত অ্যাপার্টমেন্টে রেখে আসেন মধুচন্দ্রিমা উপভোগ করার জন্য। কিন্তু সকাল হতে না হতেই প্রিয় মেয়ে অশ্রুসজল নয়নে পিতৃগৃহে ফিরে আসে। সপ্তাহখানেক পর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে মেয়ে তার বাবা-মাকে জানায় যে, সে আর স্বামীর সাথে থাকবে না। কারণ তার স্বামীটি সম্পূর্ণ নপুংসক এবং মারাত্মক যৌনরোগে আক্রান্ত। এই ঘটনা জানার পর পুরো পরিবারে প্রথমে শুরু হয় শোকের মাতম। তারপর বিষয়টি নিয়ে ছেলের পরিবারের সাথে বাদানুবাদ করতে গিয়ে বেঁধে যায় মারাত্মক লড়াই।
পারিবারিক মানসম্মান, সুখ-শান্তি এবং ব্যবসায় বাণিজ্য সব শিকেয় ওঠে। একসময় ইজ্জত বাঁচানোর জন্য এবং নিরাপত্তার অজুহাতে মেয়ের বাবা মেয়েসহ সপরিবারে বিদেশে চলে যান।
উপরি উক্ত ঘটনার মতো অসংখ্য কাহিনী বলে বিরাট সব উপন্যাস লিখে ফেলা সম্ভব। কিন্তু তাতে সমাজের কতটুকু উপকার হবে তা বলতে পারি না। বিপথগামী তারুণ্যের সর্বনাশা অগ্রযাত্রা রুখে দেয়ার জন্য উল্লিখিত কাহিনী বলার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক হয়ে এগিয়ে আসার তাগিদ দেয়ার জন্য আমরা যে চেষ্টা করে যাচ্ছি তা সবই অপচেষ্টায় পরিণত হবে যদি রাষ্ট্রশক্তি এ কাজে এগিয়ে না আসে। কারণ সমস্যাটি এখন আর কোনো বিশেষ পরিবার, সমাজ বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই। এটি মহামারী আকারে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
তারুণ্যের অবাধ্যতা, যথেচ্ছাচার এবং অসাধুতার সাথে হাল আমলে আরো একটি বদ স্বভাব যুক্ত হয়েছে। এখনকার তারুণ্য প্রায়ই অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে। বাবা-মায়ের অবদানকে মনে করে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’। এক কুলাঙ্গার সন্তান তো তা জন্মদাতা বাবাকে রীতিমতো লোকসমক্ষে অপমান করে বসল। বাবার নীতিবাক্যের উত্তরে সন্তান বলল- এত নীতিকথা বলছ কেন। মনে হচ্ছে বাবা হয়েছে তো দেবতা বনে গিয়েছ। অথচ বাবা হওয়ার জন্য অথবা সন্তান পয়দা করার জন্য কোনো চেষ্টাই তুমি করোনি। নেহায়েত ফুর্তি করতে গিয়ে সন্তান বানিয়ে ফেলেছ’ (নাউজুবিল্লাহ)।
আগেকার দিনে আপন সন্তানের তুলনায় দত্তক নেয়া সন্তানেরা বেশিমাত্রায় তার পালক বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকত। এতিমখানা বা রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া অথবা পথহারা পরিত্যক্ত কোনো বালক-বালিকাকে কোনো সহৃদয় মানুষ গ্রহণ করে লালন-পালন করলে সমাজে ধন্য ধন্য রব পড়ে যেত। আশ্রিত সন্তান সারাটি জীবন কৃতজ্ঞ মন নিয়ে তার আশ্রয়দাতা বাবা-মায়ের আনুগত্য ও সেবাযত্ন করত। অতীতের সেই প্রথা এখন আর নেই। ইদানীং আশ্রিত তারুণ্য কেন যেন তাদের ঐতিহ্য মাড়িয়ে ভয়ঙ্কর বেপরোয়া এবং অকৃতজ্ঞ আচরণ শুরু করেছে। পালিত সন্তান কর্তৃক বাবা-মাকে হত্যার বহু ঘটনা প্রায়ই পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়ে দেশবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
তারুণ্যের বিপথগামিতার জন্য আমরা কেবল ব্যক্তিকে দায়ী করব- নাকি পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দায়ী করব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। আধুনিক সভ্যতার নামে অসভ্যতা, বিজাতীয় সংস্কৃতি, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, কালো টাকার প্রভাব এবং বেহিসাবি অর্থব্যয়ের কারণে মানুষের মন-মস্তিষ্কে পচন ধরতে শুরু করেছে।
ফলে সামাজিক নানা রোগবালাই এবং মানবিক বিপর্যয় মহামারী আকারে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। অশ্লীলতা, অমানবিকতা, পাপাচার, অবিচার, অত্যাচার, অনাচার ইত্যাদি নেতিবাচক কর্মগুলো সামাজিক পোস্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে কে যে কখন এসব পোস্টার দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে বা এসব মহামারী রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, বলা যায় না। তবে পরিষ্কার জিনিসে ময়লা যেমন সহজে দৃশ্যমান হয় অথবা সংবেদনশীল শরীরে যেভাবে সহজে রোগবালাই বাসা বাঁধে- তেমনি তারুণ্যের আকুল জিজ্ঞাসা, বিপুল উদ্দীপনা এবং উচ্ছ্বল যৌবন সহজেই সমাজ ও রাষ্ট্রের পাপপঙ্কিলতা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে সবার আগে।
পাঠকের মতামত